শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ঈদের মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের কান্না; স্বদেশ ফেরতের আকুতি ‘সংক্ষুদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে’ বন কর্মকর্তাকে হত্যা : পুলিশ মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ : সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ, এপারে কম্পন কক্সবাজার পৌরসভায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় কমিটি কক্সবাজারে বিদ্যুৎ নিয়ে সু-খবর রামুতে ড্রাম্প ট্রাক উল্টে চালকের মৃত্যু চকরিয়া থেকে অস্ত্র সহ ‘ডাকাত দলের’ ৪ সদস্য গ্রেপ্তার বন কর্মকর্তা হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন টেকনাফে গলায় ফাঁস গালানো মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

সিনহা হত্যা মামলার রায়ে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট নয় কোন পক্ষই

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় আসামী পক্ষ এবং রাষ্ট্র ও বাদী পক্ষ।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী মু. মহিউদ্দিন খান বলেছেন, যে রায় আজকে হয়েছে তা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। ঘটনাস্থলে ওসি প্রদীপ ছিলেন না। ওনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। যে কারনে আমরা তার খালাস চেয়েছি। কিন্তু বিজ্ঞ আদাল যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সংক্ষুব্দ। আমরা উচ্চ আদালতে আপীলে যাবো।

রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গনে মামলার বাদী, মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, আমার প্রত্যাশা ছিল, মামলার প্রধান দুই আসামীর যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়। সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই প্রত্যাশা অবশ্যই আমাদের পূরণ হয়েছে। কিন্তু সাতজন যে বেকসুর খালাস পেলেন এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে তাদেরও তো কিছুটা দায়বদ্ধতা ছিল। সে কারনে তাদের সাজা হতে পারতো।

তিনি বলেন, সন্তুষ্টি সেইদিনই হবে যেদিন রায় কার্যকর হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ফরিদুল আলম বলেন, ১৫ আসামির মধ্যে দুই জন আসামী লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ছয়জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর সাতজন আসামীকে হুজুর আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আদালত পর্যবেক্ষনে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন সেখানে দেখা গেছে ৩০২, ২০১, ১০৯, ১২০ (বি), ৩৪ এই ধারাগুলো যে অপরাধ করেছে বলে হুজুর আদালত উল্লেখ করেছে সে অপরাধের সাথে ওই সাতজন জড়িত। সে কারনে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ঘোষিত রায়ে আংশিক সন্তুষ্ঠ হলেও সম্পূর্ণ সন্তুষ্ঠ হতে পারিনি। সবাই সমান অপরাধ না করলেও অপরাধের ধরণ বা ভূমিকা অনুযায়ী প্রত্যেকের সাজা হওয়া উচিত ছিল। কারণ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রত্যেকের কোন না কোন ভাবেই সম্পৃক্ততা ছিল। যেটা প্রত্যেক সাক্ষির জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।

“ রায় তো সাক্ষিদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক ঘোষণা করেছেন। সাক্ষিদের জবানবন্দিতে কার কি ভূমিকা ছিল সেটা তদন্ত প্রতিবেদনে যেমন আছে, তেমনি আদালতের কাছে উপস্থাপিত জবানবন্দিতে রয়েছে। সুতরাং রায়ে কারো মৃত্যুদন্ড হল, কারো যাবজ্জীবন হল আবার কারো খালাস হল; এতে তো পুরোপুরি সন্তুষ্ঠ থাকার কথা নয়। ”
বাদীর এই আইনজীবী বলেন, “ আমাদের প্রত্যশা ছিল, প্রত্যেক আসামির কোন না কোন ভাবে সাজার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। কিন্তু একই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কারো সাজা হল, আবার কারো খালাস হল; তাই আংশিক সন্তুষ্ঠ। ”

তবে মামলার বাদীসহ সবাই বসে রায়ের ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888